কিছুক্ষণ আগে আমার এক স্টুডেন্ট ফোন দিয়ে প্রচন্ড কান্না করছিলো। মেয়েটি ডাক্তার, ৪২তম বিসিএস প্রিলি দিলো আজকে। এক্সামটা তার ভালো হয় নি। যদিও প্রস্তুতি খুব একটা খারাপ ছিলো না। হয়তো প্রশ্ন কঠিন হয়েছে। এক্সাম হলে কিছু সিলি মিস্টেইক হয়ে গেছে।
কাঁদতে কাঁদতে মেয়েটি বল, ভাইয়া আমার মরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে। দিনের পর দিনের পরিশ্রম মনে হয় ২ ঘণ্টাতেই শেষ!
মেয়েটিকে খুব বেশি সান্ত্বনা আমি দিতে পারি নি।
.
.
.
এবার আরেকটা প্রসঙ্গে আসি।
আজকে সকালে ঢাকা-সিলেট হাইওয়েতে মারাত্মক রোড এক্সিডেন্ট হয়। আট জন স্পট ডেড!
এদের মধ্যে একজন চিকিৎসকও আছেন।
ভবিষ্যৎ জীবনের হাজারো স্বপ্ন আর প্রত্যাশা নিয়েই হয়তো সবাই ছুটছিলেন। এক্সিডেন্টের পাঁচ মিনিট আগেও জানতেন না কি ঘটতে চলেছে।
বহু বছরে তিলে তিলে গড়া স্বপ্ন-প্রত্যাশা এক মুহুর্তেই শেষ হয়ে গেলো !
.
.
জীবনটা অনেক ছোট।
তারচেয়ে বেশি অনিশ্চিত।
এই জীবন ঘিরে আমাদের বহু স্বপ্ন - প্রত্যাশা হয়তো থাকবে।
কিন্তু অনিশ্চিত এই ছোট জীবনে অকারণে কষ্ট পাওয়ার কোন মানেই হয় না!
.
.
ক্লাসিক্যাল মেকানিক্স বলছে সবকিছু পূর্বনির্ধারিত । ধর্মগুলোও অনেকটা সে দিকেই ইংগিত দেয়।
আমরা ভাবি আমাদের হাতেই সব কিছু। যা চাই সেটাই জয় করতে পারবো।
কিন্তু দিনশেষে হয়তো কিছুই আমাদের হাতে নেই।
হয়তো আমরা নির্দিষ্ট নিয়মে চলা পুতুলের চেয়ে বেশি কিছু নই!
একটা বিশাল ব্রহ্মান্ডের ক্ষুদ্র প্রান্তে বিভ্রান্ত কিছু জীবন যারা কেবলই অদৃশ্য মরীচিকার পিছনে ছুটে চলেছে।
©Farhan Anik
0 মন্তব্যসমূহ