মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো ছেলে বা মেয়ে প্রথম ইনভ্যালিডেশনটা পায় পরিবারের কাছ থেকে।
“খাইতে দিছি, থাকতে দিছি, যা চাস তাই দিছি...তোর আবার ডিপ্রেশনের কী আছে?!”- এইটা হইলো প্রথম ধাক্কা। এরপরের ধাক্কা হইলো “অমুকরে দ্যাখ...কিছু না পাইয়াও মানুষ হইছে...তোর এতোকিছু থাইকা আবার মানসিক অবসাদ কী রে?!” এইটা হইলো এরপরের ধাক্কা। তারপর ছেলেটা বা মেয়েটা পরিবারের সদস্য থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করে। তার আঁকড়ে ধরার স্থান হয় বন্ধু। এরপরের ধাক্কা গুলা আসে এই বন্ধু বান্ধব থেকে। খুব মন দিয়ে সাপোর্ট দেওয়ার ভান করে তারপর চুগলি করবে পেছন দিয়ে। বড় ধাক্কা আসে প্রিয় মানুষের কাছ থেকে (যদি থেকে থাকে)। এই মানসিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যাচ্ছেতাই বিহেভ করে; বলবে “এসব ঢং, অযথা এসব করো কেনো ব্লা ব্লা”।
এতো এতো ইনভ্যালিডেশন পেয়ে মানুষটা একদম এক কোণে পড়ে যায়। শেয়ার তো দূরের কথা, কারও সাথে কথাও বলেনা। এসব চোখের দেখা। অথচ শুরুতেই সেই ছেলেটা/মেয়েটা পরিবার থেকে একটু সময় পেলে এরকম হতো না।
ডিপ্রেশন একটা মানসিক রোগ। গ্যাস্ট্রিক, আলসার, ক্যান্সার, পেট ব্যাথার মতই এটা একটা রোগ। এই রোগের চিকিৎসা আছে, ওষুধও আছে। শুধু এক তুড়িতে উড়িয়ে না দিয়ে এটাকে একটু একনলেজ করলেই কিন্তু অনেক কিছু সহজ হয়ে যায়।
অর্থ-বিত্ত-মেধা-খ্যাতি থাকলেই যে আমরা বলি এতোকিছু ছিলো তবুও কেন আত্মহত্যা করলো?! এতোকিছু ছিলো কিন্তু মনে সুখ টা ছিলো না। এই সুখ কীসে আছে সেটা যে সাফার করতেছে সে জানে, আমি আপনি জানিনা। কিন্তু জানার চেষ্টা করতে পারি।
কেউ যদি কোনো অবসাদগ্রস্থ মানুষকে অন্তত কথা বলে সাহায্য করতে পারেন সেটাও করেন। ইট ওন্ট কস্ট ইউ মাচ! জাস্ট সরায়ে দিয়েন না।
© আরাফাত মোহাম্মদ নোমান
পেজের সব লেখা পড়তে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট -> bit.ly/39XnqS1
0 মন্তব্যসমূহ